১//
“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি;
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি;
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি...”
বছর ঘুরে এক একটি দিবস আসে আর সবাই বিশেষ বিশেষ গানগুলো শুনে। কেন? সেগুলো কি অন্য সব ধরনের গানের সাথে মাঝে মাঝে শুনা যায় না? গানগুলো তো শুধু গান নয়! এক একটি জীবন!
গানটি শুনতে শুনতে শামসুন নাহারের চোখ ভিজে আসে! সঠিক ওজনে কাঁদতে না পেরে চাপা শক্ত হয়ে আসে। চোখ ও মুখের কোণে ভাঁজ সৃষ্টি হয়।
এই ভাষা, এই দেশ অর্জন করতে কত জনকে কতকিছু হারাতে হলো! কত মায়ের বুক খালি হয়েছে। কত বউ হারিয়েছে তার প্রাণপ্রিয় স্বামীকে। কত প্রেমিকা তার প্রেমিককে। আর শামসুন নাহার? তিনিও হারিয়েছেন তার আদরের ছোট ভাইটিকে। জানেন না আদৌ তার আর ভাইটির সাথে আর-একবার দেখা হয়ে উঠবে কিনা। সময় তো ক্রমশঃ এগিয়ে এসেছে!
২//
সোনিয়া এক মনে তার ঘরে ছবি আঁকছে। অয়েল পেইন্টিং! সারা ঘর ময় ছড়িয়ে রয়েছে সাত-আটটি চকচকে ছবির ক্যানভাস। ছোট বড়। কিছু এঁকে রেখেছে জল রঙেও। এগুলো নতুন করেছে মনে হচ্ছে।
২১শে ফেব্রুয়ারী চারুকলার জয়নাল গ্যালারীতে ওদের চার বন্ধুর যৌথ চিত্র প্রদর্শনী। এবার নিয়ে অষ্টম বারের মতন প্রদর্শনী করছে। ভালই আঁকে মেয়েটা।
প্রতিটি বিশেষ বিশেষ দিবসের আগে আগে কত ছবি যে আঁকে! নিজের কাজে মগ্ন হয়ে থাকা নাতনীকে পেছন থেকে নিরবে দেখতে থাকেন শামসুন নাহার।
এক মনে ছবি আঁকতে আঁকতে পেছন ফিরে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা নানীকে দেখে বলে উঠলো,
“ওহ নানী, আপনি আবারো এই রঙের ঘরে ঢুকেছেন? বলেছি না এসবে আপনার সমস্যা হতে পারে!”
“আ---র সমস্যা! বাঁচবোই আর কয় দি--ন!”
“ধ্যাত! এই নানীটা না-আআ...! কিচ্ছু বলা যায় না!” রাগ করে বলে উঠে যায় ও।
শামসুন নাহার এগিয়ে এসে ঘরের ভেতরে একটা চেয়ারে আস্তে আস্তে বসতে চেষ্টা করেন। ইদানিং তার শরীর অনেক ভারী হয়েছে। ইচ্ছে মতন আরামে আগের মতন আর শরীরটাকে মুভ করতে পারেন না। সোনিয়া কাছে এসে নানীকে ঠিকমত বসতে সাহায্য করলো। কিছুক্ষণ নানীর হাঁটুতে মাথা রেখে মেঝেতে বসলো। কিছুটা সময় দু’জনেই চুপ। কোন কথা নেই। “কি এত ভাবছে মেয়েটা!” নাতনীর মাথায় হাত রাখেন নানী। সোনিয়া মুখ তুলে যে ছবিটা এতক্ষণ মনযোগ দিয়ে এঁকে চলেছিলো, তার দিকে তাকালো। আবারো কিছু ভাবলো। ঠোঁটের মধ্য থেকে অয়েল-ব্রাশ এর গোঁড়া বের করে ঘাড়ের কাছে বার কয়েক নাচালো। তারপরে নানীর দিকে চেয়ে ছবিটির দিকে ইশারা দিয়ে আবার বলে উঠলো,
“আচ্ছা, নানী, বলেন তো এই ছবিটা ক্যামন আঁকলাম?”
“হুঁ-উউউ! ভা-লো-ই!” নানী বলে উঠেন থেমে থেমে।
“কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, কি যেন একটা নেই! কি দিলে যেন আরো বেশি পারফেক্ট হতো!” বিরবির করে বলতে বলতে আবার এগিয়ে যায় নিজের পেইন্টিং এর দিকে।
শামসুন নাহার বসে থাকেন একা। আর ভাবতে থাকেন! মনে মনে বলতে থাকেন, “আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে তো তোরা সামনে থেকে দেখিসনি, অনুভব করতে পারিস না তাই কি ছিলো সেটা! যা নিজ চোখে দেখিস নাই, অনুভব করতে পারিস নাই তা কি করে ফুঁটিয়ে তুলবি! যত ভালোই আঁকিস কিছুটা ফাঁক তো রয়েই যাবে!”
আবারো মনে পরে যায় ছোট ভাইটার কথা। চোখের কোণে জল চিক চিক করে উঠতে থাকে তাঁর।
৩//
শামসুন নাহার দিনের বেশির ভাগ সময় বড় মেয়ের সাথেই থাকেন। পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলের বেড়ে ওঠার সাথে সাথে রিটায়ারমেন্টের টাকা দিয়ে তাঁর স্বামী আলহাজ্জ্ব হাফিজুদ্দিন এই বাড়িটা বানিয়েছিলেন। আজ তাই সব ছেলেমেয়ে নাতিনাতনী সাথে নিয়ে তাঁর চাঁদের হাট। সকাল সন্ধ্যা ছেলেমেয়ে নাতি নাতনীরা সবাইই খোঁজখবর রাখেন।
হাফিজুদ্দিন সাহেব থাকেন নিজের ধর্মকর্ম নিয়ে। নামাজ পড়া, খাওয়া আর ঘুমানো ছাড়া এখন আর অন্য কোন কাজ নেই। যথেষ্ট বয়স হয়ে গেছে। নব্বই পেরিয়েছেন কয়েক বছর হলো। কথাবার্তা খুব কমই মনে থাকে ওনার। নিজের ঐ তিন কর্মের বাইরে বিশেষ কারো সাথে কথাটথাও বলেন না। কথা বললেও ঠিক ঠাওর করতে পারেন না যে কার সাথে কথা বলছেন। তাই শামসুন নাহার একা ঘরে কি করবেন। তাঁর চেয়ে পাশের ফ্লাটে বড় মেয়ের ঘরে সময় কাটাতেই ভালোবাসেন।
বড় মেয়েটা ক’দিন ধরে খুব ব্যস্ত। খুব ছুঁটাছুটি করছে। পাসপোর্ট বানানোর জন্য। বিদেশে যাবে। আমেরিকা। তাঁর বড় ছেলের কাছে। ছেলের পিএইচডি শেষ হবে সামনে। তারই রিসিপশনে প্রত্যেক ছেলে-মেয়ে তাঁদের বাবা-মাকে নেবার জন্য ইনভাইটেশন লেটার পাঠিয়ে দেবে। বাবু সেটা পাঠাবেনা। সাথে করেই নিয়ে আসবে। আসছে সপ্তাহেই সে ছুটিতে দেশে আসছে। থাকবে মাস দেড়েক।
শুনছেন নাতির নাকি এবার বিয়েও করে বউ সাথে নিয়ে যাবার ইচ্ছা। অনেক পাত্রী দেখা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভালো পাত্রী খুঁজে পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়! তাঁর উপর নাতির খুব ডিমান্ড! নিজের মতন জোড়া খুঁজছে সে। বুয়েট, ঢাকা ভার্সিটির মেয়ে চাই! নাতির মতন যেন সুইট হয়! ফর্সা! ইত্যাদি ইত্যাদি। নাতির কোন মেয়েই মনে ধরছিলো না। অনেক মেয়েই দেখানো হয়েছে। এখনো দেখানো হচ্ছে। সবার সাথে এক কথা, “দেশের বাইরে গিয়ে থাকতে রাজী আছে কিনা!” অনেকে রাজী হয়নি বলে পছন্দ হলেও বাইরে যাবেনা বিধায় ক্যানসেল করতে হচ্ছে।
ছেলে মাইক্রোসফট কম্পানীতে ভালো চাকরি পেয়েছে। সুতরাং অত ভালো চাকরি ছেড়ে সে এই দেশে ফিরে আসবেনা। ভালো বেতন!
“সবাই বিদেশ চলে যেতে চায়!” দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন শামসুন নাহার। “এই দেশটাকে নিজের বলে পাওয়ার জন্য এক সময় কত মানুষ স্বজন হারা হয়েছে। কত ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশটা! লোকজন এখন সব বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে!” নিজের মেয়েই ছেলের সাথে বাইরে স্যাটেল হতে চাইছে। তাঁর ভাষায় “এই হরতাল, যানজট, দূর্নীতির দেশে এখন আর টিকে থাকার উপায় নেই! তাঁর চেয়ে করাপশনমুক্ত বিদেশে চলে যাওয়া অনেক ভালো। অন্তত জানে বেঁচে থাকা যাবে!”
কথাটা একেবারে মিথ্যে বলেনি মেয়েটা। এত কষ্টে পাওয়া দেশটা এভাবে পালটে যাবে কে ভেবেছিলো!
৪//
ছোট নাতনী নাদিবা নূর খুব ব্যস্ত! মেপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে চাকরী করে। বাসায় ফিরেই সামান্য কিছু মুখে দিয়েই আবার বসে যায় টিউশনীতে। আজ এখনো ফেরেনি। সন্ধ্যার আযান হয়ে গেছে।
নাদিবা ফেরেনি। কিন্তু ওর কাছে যে পিচ্চি মেয়েটা পড়তে আসে সে এসে পরেছে। সাথে কাজের মেয়েটা।
শামসুন নাহার মাঝে মাঝে এদের দেখেন। কখনো কথা বলা হয়নি। আজ যখন নাতনী ফেরেনি কথা বলা যাক। সময় কাটবে।
“কি নাম তোমার?”
“ওর নাম এশা।” উত্তর দিলো কাজের মেয়েটা।
“তুমি নাম বলতে পারো না?”
“আপু, তোমার নাম বলো!” এবারো উত্তর দিলো কাজের মেয়েটাই।
“মা’ নেম ইস এশা!” এতক্ষণে কথা বলে উঠলো বাচ্চাটা। কি বললো? নামই বললো নাকি! ইংরেজীতে বলেছে?
কি যে শেখাচ্ছে আজকালকার মা-গুলো বাচ্চাদের! বাংলা স্কুলে দিলে কি সমস্যা!
“ওহ এশা! উ’হ্যাভ খাম?” নাদিবা ঢুকেছে মাত্র।
“ইয়েস মিস!” খলোখলো হাসিতে চঞ্চল হয়ে দাঁড়ালো এশা।
শামসুন নাহার উঠে চলে এলেন মেয়ের ঘরে। মেয়ে জামাই নেই। এ ঘরে টিভি আছে। নামাজ কালাম শেষে মাঝেমাঝে মেয়ের সাথে বসে বাংলা নাটকগুলো উপভোগ করেন। আজ একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষ্যে নাটক দেখাচ্ছে সব বাংলা চ্যানেলগুলো।
খুব মনযোগে নাটক দেখতে বসেন শামসুন নাহার। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্মৃতিতে আবার ভেসে আসে খোকনের কথা। সেই সব দিনগুলো। চোখের ডাক্তার হয়ে ইন্টার্নি করছিলো ভাইটা। ঢাকা মেডিকে্লের হল থেকে সেই যে ধরে নিয়ে গেছিলো ভাইটাকে আর জানা হলোনা আদৌ সে বেঁচে ফিরতে পেরেছিলো কিনা! ওনার কেন যেন মনে হয় ভাইটা আছে। কোথাও আছে। যদি বেঁচে থাকেই তাঁর কি স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছিলো? নইলে কেন তাকে আর একবার দেখে যেতে পারবেন না! বুদ্ধিজীবী হত্যার পরদিন অনেক লাশ খুঁজে খুঁজে দেখা হয়েছিলো। কোনটা যে কে তা পৃথক করে বুঝবার উপায় ছিলো না। এতটাই নৃশংস অত্যাচার করে মারা হয়েছিলো তাদেরকে! একটা লাশ দেখে আনুমানিক ভেবে নেয়া হয়েছিলো ঐটাই ওনার খোকন। আদরের ছোট ভাই। বাকিরা বিশ্বাস গেলেও উনি কখনোই বিশ্বাস করেন নাই যে খোকন মরে গেছে!
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি!
ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু রাঙ্গানো ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি!...”
বেশ উঁচু সাউন্ডে গানের সুরে পুরনো স্মৃতির জগত থেকে বাস্তবে ফিরে আসেন তিনি। আবারো নাটক দেখতে থাকেন!
মাঝে কিছুক্ষণ খেয়াল করেন নাই। নাটকে কি কি দেখিয়েছে তাও ভালো করে খেয়াল হচ্ছেনা। হাফিজুদ্দিন সাহেবের মতন ওনারও স্মৃতিচারণে মাঝে মাঝে বিঘ্ন ঘটে। পর পর দু’বার স্ট্রোক করেছেন! কিডনি, ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার সহ নতুন এক রোগ মাথায় স্থান দিয়েছেন। পারকিনসন্স! যত বেশি বয়স বাড়তে থাকবে মাথার বুদ্ধিকোষগুলো কিছু কিছু করে মরে যেতে থাকবে। মাঝেমাঝে যা একটু আধটু পুরনো কথা মনে করে ফেলেন!
নাটকের যতটুকু দেখেন নাই ততটুকুর কথা বাদ থাক। বাকিটুকু ভালো করে দেখা যাক! দেখতে দেখতে চমক! যা তিনি কোনদিন ভাবতেও পারেন নাই! শুধু স্বপ্ন দেখেছিলেন! গল্পের কাহিনীটা অনেকটা তাঁর আর খোকনের সাথে মিলে যাচ্ছে! উনি আরো বেশি অবাক হলেন যখন দেখলেন নাটকের ভাই চরিত্রে যাকে দেখানো হচ্ছে তাকে যেন অনেকটা খোকনেরই আদল। আরো চমক তখনো বাকি! নাটকটির শেষে নাম ওঠার সময়ে একটি মেয়ে ক্যামেরার দিকে মুখ করে হাতে স্পিকার নিয়ে বলে উঠলো, “সুধী দর্শকমন্ডলী, এটি ছিলো আমাদের একটি প্রামান্য চিত্র! মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা মেডিকেলের ছাত্রাবাস থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য সব ছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। তাদের মধ্যে চক্ষু ডাক্তার আনোয়ারুল হক খোকন অলৌকিকভাবে বেঁচে যান! কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পরে ফিরে এসে তিনি নিজের পৈত্রিক ভিটায় কাউকে খুঁজে পাননি। জীবন সায়াহ্নে এসে তিনি তাঁর পরিবার পরিজনদের সাথে একটিবার দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ-এর কারণেই আজকের এই প্রতিবেদনমূলক প্রামাণ্যচিত্র!” এতটুকু শুনেই ওনার প্রেশার বেড়ে গেলো। হাত কাঁপতে লাগলো! “সুরমা!!” বলে বড় মেয়েকে জোরে চিৎকার দিয়ে ডেকেই তিনি পড়ে গেলেন!
মেয়ে ছোট মামাকে খুঁজে পেয়ে খুশি হবেন কি মায়ের আচমকা পড়ে যাওয়া দেখে ভড়কে গেলেন! মুহুর্তের মধ্যে সারা বাড়ির সবাইকে খবর দেওয়া হলো। সবাই এসে হাজির হয়ে গেলো। কিন্তু, নাহ! আসলেই ভড়কে যাবার তেমন কিছুই হয়নি! প্রেশার বেড়ে গিয়েছিলো শুধু।
পাঠক, এর পরের ঘটনা শুধুই আনন্দের। স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরে বোন ফিরে পেলো তাঁর হারিয়ে যাওয়া পরিবারের সকলের কাছে মৃত বলে মনে করা ভাইটিকে। আর ভাই ফিরে পেলো তাঁর পুরো পরিবার সহ এক ঝাঁক নতুন প্রজন্মকে।
১৭ অক্টোবর - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৪৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪